২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুকুন্দগাতী গ্রামের মোহাম্মদ আলী সরকার বেলকুচি পৌরভবনসংলগ্ন দক্ষিণে আড়াই বিঘা জমির ওপর তার ছেলে আল-আমান ও মা বাহেলা খাতুনের নামে আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
তিনি তার নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করে মসজিদটি নির্মাণ করেন। এটি নির্মাণে সময় লেগেছে চার বছর। শুরু থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৫ শ্রমিক কাজ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে বেশ কয়েক জনের সাথে সাক্ষাৎকার নিয়ে জানা যায়
নয়নাভিরাম দ্বিতল এই মসজিদটির ওপরে বিশাল আকৃতির একটি গম্বুজের পাশাপাশি ছোট-ছোট আরও আটটি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদটির দু’পাশে রয়েছে ১১তলা সমতুল্য (১১০ ফিট) উচ্চতার মিনার। মসজিদের ভেতরে মার্বেল পাথর ও গ্রানাইড পাথর দ্বারা মোড়ানো দৃষ্টিনন্দন সূক্ষ্ম কারুকাজ নজর কেড়ে নেয় দর্শনার্থী এবং মুসল্লিদের। মসজিদের চারপাশে সাদা রঙের পিলার, সুউচ্চ জানালা, সাদাটে রঙের টাইলস। চত্বরে পরিকল্পিতভাবে লাগানো সবুজ ঘাস। সবকিছুই যেন অনন্য সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে দেয়।
রাত এলেই আলোর ঝলকানিতে অপরূপ রূপে শোভিত হয় মসজিদটি। চতুর দিকে রং-বেরঙের আলোকসজ্জা দূরের দর্শনার্থীকেও আকৃষ্ট করে। মসজিদের ভেতেরও রয়েছে একাধিক ঝাঁড়বাতির আলো। বেশ দূর থেকেই মসজিদের গম্বুজ ও নির্মাণাধীন মিনার দু’টি নজর কাড়ে। রাতের বেলা এক অন্যরকম আবহের সৃষ্টি হয়। সব মিলিয়ে বেশ শান্ত পরিবেশ।
Leave a Reply