প্রতি বছরের নেয় এই বছর ও বন্ধ হতে যাচ্ছে সুন্দরবন, আগামী জুন, জুলাই, আগষ্ট ৩ মাস সুন্দরবনে এ-সময় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রজন্ম হয় বলে জানাচ্ছে মৎস্য অধিদপ্তর।
বিষয় খোঁজ নিয়ে ছিলাম খুলনা জেলার সুন্দরবনের কোল ঘেষে গোড়ে উঠা কয়রা উপজেলা দক্ষিণ বেদকাশীর জোড়শিং গ্রাম উত্তর বেদকাশীর শাকবাড়িয়া কাটকাটা গ্রাম, কয়রা সদরের গোবরা, ছয় নং কয়রা, পাঁচ নং কয়রা, চার নং কয়রা গ্রাম ,মহারাজপুরের মঠবাড়ি, হাতখালী গ্রাম, মহেশ্বরীপুরের চরেরকোনা, শেখের কোনা গ্রামের ১০/১৫ জন সাধারণ হতদরিদ্র জেলেদের কাছে তারা বলেন সুন্দরবন বন্ধ হলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
জীবিকা নির্বাহ করার একমাত্র জায়গায় সুন্দরবন সেটা যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের আত্মহত্যা ছাড়া কিছুই করার থাকবেনা ।কারণ বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জিনিসের যে দাম তা কিনে কি করে সাংসারা চালাবো, আর ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ কিভাবে জোগাবো।
এই দিকে ৬ কয়রা,৫ নং কয়রার কয়েক জন জেলের সাথে কথা বলে, তারা বলেন আমাদের প্রতি বছর এনজিও, সমিতির থেকে ঋণ নিয়ে মাছ, কাঁকড়া ধারার সরঞ্জাম বানাতে হয় বছরে ৫ মাস যদি সুন্দরবন বন্ধ থাকে তাহলে আমরা ঋণের টাকা কি করে পরিষধ করবো আর পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে পারে কি করে বেঁচে থাকবো।
যদি তিন মাস সুন্দরবন বন্ধ না করে এক মাস বন্ধ করলে ভালো হতো তাহলে আমার একটু হলে ও স্বস্তি ফিরে পেতাম।
এই বিষয়ে খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, তিন মাস সুন্দরবনের পাস,পারমিট বন্ধ থাকলে জেলেদের একটু সমস্যা হয় তবে সরকার থেকে কোনো মতামত চাইলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
Leave a Reply