রায়গঞ্জ উপজেলা সদর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও নৈশ প্রহরী নিয়োগ নিয়ে নানা কাণ্ডের পর নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে নিয়োগ কমিটি।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে গেলেন প্রধান শিক্ষক পদে ছয়জন ও নৈশ প্রহরী পদে ৭ জন প্রার্থী। সোমবার উপজেলার প্রাচীন নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সদর বালিকা বিদ্যালয়ে শুণ্য পদের বিপরীতে প্রধান শিক্ষক ও নৈশ প্রহরী নিয়োগ পরীক্ষা ১০ টার সময় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ ছাড়া প্রার্থী নিয়োগে মোটা অংকেরা টাকার লেনদেন হয়েছে জেনে সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও পৌরসভার সব কাউন্সিলরবৃন্দ স্কুল মাঠে উপস্থিত হয়। কিন্তু ততক্ষনেও স্কুলের নিয়োগ বোর্ডের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নেয়ার ব্যপারে কৌশল অবলম্বন করছে বলে খবর এলে স্কুল মাঠেই শুরু হয় প্রতিবাদ। অবশেষে রায়গঞ্জ পৌর মেয়র আবদুল্লাহ আল পাঠান উপস্থিত হয়ে উপস্থিত সাংবাদিক ও নেতাকর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করে চলে যান। এর মধ্যও সভাপতি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জিবির প্রতিনিধি জেলা বিএল স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা নিতে উপস্থিত না হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুরুজ্জামান ও কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া নিয়োগ বোর্ডের কাউকে না পেয়ে আবারও উত্তেজিত হতে থাকে উপস্থিত নেতাকর্মীরা। সোমবার দুপুরে নিয়োগ বোর্ডের দায়িত্বশীলরা একে একে উপস্থিত হলে জটলা পেকে যায় স্কুলের অফিস কক্ষে। পরে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে নেয়ার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকায় জিবির প্রতিনিধি নিয়োগ পরীক্ষা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিয়োগ পরীক্ষাটি স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। এ ব্যপারে পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান জানান, নিয়োগ যেন স্বচ্ছ হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে।
Leave a Reply