সাতক্ষীরায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
রবিবার (১৪ মার্চ) রাতে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক একরামুল হক (২৩) নামের এক যুবককে আটক করে সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। ধর্ষক একরামুল হক (২৩) সদর উপজেলার বালিয়াডাঙা গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক কামরুল ইসলামের ছেলে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতনের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী জানান, সে তার গ্রামের পার্শ্ববর্তী একটি দাখিল মাদ্রসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। তারা বাবা ইট ভাটায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সারাদিন পরিশ্রম করে তার বাবা প্রতিদিন বাড়িতে দেরীতে ফেরেন আর তার মা রাত কানা। এই সুযোগে লম্পট একরামুল রবিবারে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বাড়িতে আসে। এ সময় তাকে তাদের বাড়ির ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। তার চিৎকার শুনে তার ভাবী ও অন্যরা ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাহীনুর হাসান জানান, ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর গোপনাঙ্গ রক্তাক্ত ও জখম হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ একরামুলকে সোমবার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার ভাই বাদী হয়ে ধর্ষক একরামুলের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(ক) ধারায় একটি মামলা (৪২নং) দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত একরামুলকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতার ডাক্তারী পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি মঙ্গলবার সম্পন্ন করা হবে।
Leave a Reply