মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ও বন্দর এলাকার সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান আলোক সজ্জা করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ১০১ তম জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের এবারের প্রতিবাদ্য বিষয় “বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুর হৃদয় হোক রঙিন” সম্বলিত ব্যানার মোংলা বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনায় টানানো, মোংলা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা অনুষ্ঠান ও ডকুমেন্টরী প্রদর্শণ করা হয়। এসময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারীদের মাঝে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বিতরণ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১ টায় বন্দরের জেটি চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, ওএসপি, এনপিপি, আরসিডিএস, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, বিএন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপ্টেন এম আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, এপিপি, পিএসসি, বিএন, সদস্য (হারবার ও মেরিন) ও মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন)। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মোংলা বন্দরের প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারীকে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে তাহলেই শক্তিশালী হবে দেশের অর্থনীতি। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা মোংলা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধ কর্ণার উদ্বোধন করেন এবং বন্দরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মাঝে উন্নত মানের খাবার বিতরণ করেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বন্দর কর্তৃপক্ষের সকল মসজিদ সমূহে বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply