বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের সানজিদা (মুনা)(৩০), নামের এক গৃহবধুর উপর অমানবিক আচারণ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানায় জন্মসূত্রে তিনি বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারি ছিলেন। এবং তার জন্ম সূত্রে বাসস্থান চট্টগ্রাম। মোংলার মিঠাখালী ইউনিয়নেরে আঃ সালাম শেখ (৬০), এর ছেলে মহিবুল্লা শেখ (৩৩), এর সাথে তার পরিচয় কর্ম সূত্রে সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয় ও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহ হওয়ার আগেই ভুক্তভোগী নারী তার নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ভুক্তভোগী নারী বুঝতে পারে, সবই ছিল প্রতরনার ফাঁদ, তার কাছে থাকা ৫ লক্ষ টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণ নেয়ার অভিযোগ করেন তিনি। বিয়ে করার ১ বছরের মাথায় তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয় শহরের এক পতিতালয়ে সেখানে কাটে নিষ্ঠুরতার দিন। ভাগ্যের জোরে ভুক্তভোগী পতিতালয় থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। তিনি আরো বলেন, নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করায় আর ফিরে যেতে পারেনি নিজের কাছের মানুষদের কাছে। ফিরে আসে নিজের ভালোবাসার মানুষের কাছে, যার জন্য ত্যাগ করে এসেছে মা – বাবা’ কে। তিনি আরো বলেন,স্থানীয় এক সাংবাদিক মোংলা টাইমস এর কথা বলে আমার নিউজ করেছিলো কিছুদিন পর আমার স্বামীর কাছ থেকে উৎকোচের বিনিময় আর নিউজ করে নাই,আমার কাছেও তিনি টাকা চাইছিলো। সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে রেখে বাড়ির সবকিছু বিক্রি করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়ী, বর্তমানে তাদের কোন সন্ধান নাই। ভিক্ষা করেই জীবন যাপন করছেন এই অবহেলিত মহিলা। ভুক্তোভোগী নারী’সহ এলাকাবাসী দাবি করেন দ্রুতই এই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হোক। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নারী ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরাত জাহান বলেন, ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে, বিষয়টি খুব অমানবিক। তদন্তে সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply