হারিয়ে যাচ্ছে র্দীঘ দিনের ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ পদ্ধতি যা গরু, মহিষ, লাঙল, জোয়াল দিয়ে জমিতে হালচাষ করা হতো। এই চাষাবাদের সাথে ওতোপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে গ্রাম বাংলার হাজারো কৃষকের হৃদয়ের স্মৃতি। সেই স্মৃতিটি হলো গরু, মহিষ আর লাঙ্গল দিয়ে চাষাবাদের পদ্ধতি। তবে র্দীঘ দিন পর আজ বুধবার সকালে বাংলাদের উত্তরের ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার, একজন গ্রামের কৃষক সেই ঐতিহ্যবাহী লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষের চিত্র দেখাতে পাওয়া যায়। তার সাথে কথা বললে, তিনি জানিয়েছে, আগের দিনের মতো লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষাবাদ করা হয় না, এখন তো ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার এগুলো দিয়ে চাষ করা হয়, তাই এই চাষের মুল্য নাই। কৃষি প্রধান দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের প্রায় শতকরা ৮০% মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কৃষি কাজের সাথে জড়িত। লাঙ্গল চোয়ালে চাষাবাদ পদ্ধতি হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। বাংলার বৈচিত্র্য অনুসন্ধান করতে গেলে কৃষি বিভিন্ন উপকরনের মধ্যে অবশ্যই লাঙল চোয়াল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তির আবিষ্কারের কারণে সঙ্গে সঙ্গে হাল চাষের পরিবর্তনে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হয়। এক সময় বাংলাদেশর বিভিন্ন জেলায় কৃষক শ্রেণির মানুষ গরু পালন করত এবং গরু, মহিষ দিয়ে হাল চাষাবাদ করত। কিন্তু কালের বিবর্তনের ধারায় সভ্যতার অগ্রযাত্রার কারণে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য। বাংলাদেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে লাঙল দিয়ে জমি চাষ পদ্ধতি এখন আর চোখে পড়ে না। আধুনিকতা কারণে ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ পদ্ধতি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, সেই কাক ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু, মহিষ নিয়ে এবং কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিয়ে বেরিয়ে পড়তো মাঠের জমিতে হালচাষ করার জন্য। বর্তমানে আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তনের ছোঁয়া আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে। তাই সকালের শীতল আমেজে কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেতে দেখা যায় না দেশের কৃষকদের।
Leave a Reply