বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী সাদিকের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। বুধবার (৩ মার্চ) সকালে প্রত্যন্ত ওই কাতলামারী গ্রামে তার বাড়িতে গিয়ে সাদিক ও তার বৃদ্ধ দাদীর খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি তাদের পরিবারের জন্য চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী উপহার তুলে দেন সাদিকের বৃদ্ধ দাদী রহিমার হাতে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুলছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ কাওছার আলী, তদন্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, টিআই (এডমিন) নুর আলম সিদ্দিক, গাইবান্ধা সরকারী কলেজের প্রভাষক দুর্বার গাইবান্ধার উপদেষ্টা কাইয়ুম আজাদ, মানবাধিকারকর্মী সালাউদ্দিন কাশেম, নাজিম আহম্মেদ রানা, ইউপি সদস্য সবুর সরদারসহ স্থানীয়রা। পুলিশ সুপার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বন্যা, করোনা কালীন সময়সহ বিভিন্ন সময়ে জেলা পুলিশ এরকম মানবিক কাজ গুলো করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় অসহায় পরিবারটিকে আমরা চিকিৎসাসহ সবধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মোটা কাপড়ের দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হয় সাদিককে। সে কখনও কুড়ে ঘরে আবার কখনও বাড়ির উঠানে শুয়ে বসে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে মা-বাবা হারা এই প্রতিবন্ধী ছেলেটি। জন্মের পরে বাবা মারা যান এবং অন্যত্রে মা চলে যাওয়ায় বর্তমানে একমাত্র বৃদ্ধ দাদী রহিমা বেওয়ার কাছে আছেন সাদিক। সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ সুপার সাদিকের বাড়িতে গিয়ে এসব সহায়তা প্রদান করেন।
Leave a Reply