অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপন দেখানো বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার আইনানুযায়ী বন্ধের পক্ষে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এ নিয়ে আন্দোলনের কথা বলা অযৌক্তিক।
যেসব চ্যানেল দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে এবং সংস্কৃতিকে চোখ রাঙাচ্ছে, সেগুলোর পক্ষে ওকালতি করা দেশের স্বার্থবিরোধী, আইনবিরোধী। তিনি আশা করেন, কেউ দেশের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত হবেন না।
রাজধানীর সচিবালয়ে আজ রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দুই বছর সময় দেওয়ার পর ১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের সম্প্রচার আইনটি কার্যকরের কথা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার কোনো চ্যানেল বন্ধ করেনি। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত। যেকোনো চ্যানেল সম্প্রচার করা যাবে, কিন্তু সেটা দেশের আইন মেনে। আইনানুযায়ী বাংলাদেশে যেকোনো বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে প্রচার করতে হয়। এটি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলাদেশে এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হচ্ছিল। সরকার এই আইন বাস্তবায়নের জন্য দুই বছর আগে সংশ্লিষ্টদের বলেছিল। তাগাদা দেওয়া হয়েছিল। সবশেষ গত মাসে সব পক্ষকে নিয়ে বসে ১ অক্টোবর থেকে এই আইন কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরাসহ ১৭ বা তারও বেশি চ্যানেল ক্লিন ফিডে আসে। অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, অনেকে এগুলো চালাচ্ছেন না। এটি কেব্ল অপারেটর লাইসেন্সের শর্তবিরোধী। সুতরাং কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে সেই অপরাধে অভিযুক্ত হবেন।
সূএ, প্রথম আলো
Leave a Reply