গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের ভাড়া বাসার বারান্দা থেকে সোমবার সকালে ড্রাইভার সৈকত মিয়ার (৩২) রহস্যজনক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, পৌরশহরের জামালপুর গ্রামের তিনমাথা মোড়ের আব্দুস সামাদ সরকারের বাসা ভাড়া নিয়ে ড্রাইভার সৈকত ও তার কথিত স্ত্রী সাথী বেগম (২৪) বসবাস করে আসছিল। পড়শীরা জানায় স্ত্রী সাথী বেগমের চরিত্র নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি লাগতো। ঘটনার দিন রোববার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়।
একপর্যায় তারা ঘুমিয়ে পড়েন। এদিকে সকালে বাসার বারান্দার কাঠের সাথে গামছা পেঁচানো এবং মাটিতে পা লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় সৈকতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে সৈকত আত্মহত্যা করেছে না তাকে পরিকল্পিত হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলে রাখা হয়েছে এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন জনমনে নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনসহ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সৈকত মিয়া সাদুল্লাপুর উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান নুরু মিয়ার ছেলে বলে জানা যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই ইউসুফ আলী সোমবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে প্রেরণ করেন।
থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান, এ ঘটনায় সৈকত পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে জানা যাবে সৈকত আত্মহত্যা করেছে না তাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই তা জানা যাবে। রিপোর্ট পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply