ঘটনাটি ঘটেছে ১ম দফা গত ০২/০২/২০২১ ইং তারিখ আনুমানিক দুপুর ২ টার সময় ও ২’য় দফা ১১/০৩/২০২১ ইং দুপুর ১২ টার সময়। এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারী হলেন, মোঃ অমর আলী হাওলাদার।
অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা হলেন, একই বাড়ির, (১).জসিম হাওলাদার (৪৮), পিতাঃ আজিজ হাওলাদার (৬৫), (২).মামুন হাওলাদার (৩২), (৩). সাব্বির হাওলাদার (২০), (৪). সুমন হাওলাদার, উভয় পিতাঃ মৃত সিদ্দিক হাওলাদার, (৫). রবিন হাওলাদার (১৮), পিতাঃ জসিম হাওলাদার।
অভিযোগকারী অমর আলী হাওলাদার প্রতিবেদককে বলেন, পুর্ব শত্রুতার জেরে জসিম হাওলাদারের নেতৃত্বে তার ছেলে রবিন, মামুন, সাব্বির ও সুমন ষড়যন্ত্র করে মৃত সিদ্দিক হাওলাদারের ছোট পুত্র শাহারিয়ার (১৩) কে দিয়ে আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।এতে ঘরটি সম্পুর্ন পুরে ছাই হয়ে যায় এবং লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে ১ম দফায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটায় এবং দ্বিতীয় দফায় আবারও আমার বসত ঘরে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তুু বাড়ির লোকজন দেখে ফেলায় অপরাধীরা সফল হয়নি। আমি আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে অমর হাওলাদারের ছেলে জলিল হাওদার বলেন, আমাদের ঘরে আগুন লাগানোর কথা মোবাইল ফোনে স্বীকার করে শাহরিয়ার দাদা আজিজ হাওলাদার। তিনি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে এবং ক্ষতিপূরণ দেবে বলে জানায়।
সরেজমিনে জানাগেছে, স্থানীয়ভাবে কমলাপুর ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওয়াহাব রাড়ি, সাবেক ইউপি সদস্য বারেক রাড়ি, সেলিমের সিকদার, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের মোশাররফ হোসেন ও সোবাহান সিকদার একাধিকবার সালিশ মিমাংসার চেষ্টা করলেও কোন মিমাংসা হয়নি বরং উল্টো খলনায়ক জসিম তার ভাইয়ের ছেলেরা ও বহিরাগত লোকজন মিলে ভুক্তভোগী পরিবারকে পুনরায় আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকি ধামকি দেয়া সহ নানান ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ওয়াহাব রাড়ির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা একটা অডিও রেকর্ড শুনেছি যেখানে আজিজ সিকদার তার নাতি শাহারিয়ার আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করেন। অপরাধ প্রমানিত হওয়ার পরেও আমরা উভয়ের মধ্যে একটা মিমাংসা করে দিবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এছাড়াও থানায় একটি অভিযোগ হয়েছিলো। এসময় জসিম আমাদের সালিশগনদের কাছে অনুরোধ করে বিষয়টি মিমাংসা করিয়ে দিতে বলে। অথচ মুল ভিকটিম জসিম নিজেই একাধিকবার তারিখ দিয়েও সালিশিতে আসে নাই। বরং কয়েকদফা সালিশীর তারিখ দিয়ে মিমাংসায় আসবো আসবো বলে জসিমের আপন চাচাতো ভাই ও বেয়াই সালাম কে দিয়ে বিভিন্ন কারন দর্শাইয়া সালিশ স্থগিত করে দেয়। তিনি আরও বলেন, কারো ঘরে আগুন দেয়া আইনের দৃষ্টিতে শাস্তি যোগ্য অপরাধ তারপরও পরস্পর আত্নীয়স্বজন বিধায় আমরা স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করি। সেটা যখন সমাধান হয়নি এর বিচার আইনের মাধ্যমে হলেই ভালো হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার প্রসাশনের সহযোগিতায় আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে মিডিয়াকে জানিয়েছেন।
Leave a Reply