পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে জমি জমার বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় বসতবাড়ি ভাংচুর ও নগত অর্থ, স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নেয়া সহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগকারী হলেন মোসাঃ সাহিদা বেগম ও স্বামীঃ মস্তফা মাদবর। গত (২৩’মে-২০২১ ইং) তারিখ উপজেলার বড়বাইশদা ইউনিয়নে সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় গাববুনিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।হামলায় আহতরা হলেন, মস্তফা মাদবর (৫০), জাহাঙ্গীর মাদবর, উভয় পিতাঃ ইদ্রিস মাদবর ও শাহিদা বেগম (৪৫), স্বামীঃ মস্তফা মাদবর। এবিষয়ে মোঃ মস্তফা মাদবর (৫০), পিতাঃ ইদ্রিস মাদবর, বাদী হয়ে মোকাম পটুয়াখালী বিজ্ঞ আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালতে গত-০১/০৬/২০২১ ইং তারিখ ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা নং-১১৪/২০২১, ধারা, দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারা সহ দন্ডবিধি, ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৪৪৭/৪৪৮/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ দন্ডবিধি। মামলার আসামিরা হলেন, (১). মহিউদ্দিন মাদবর (৪০), (২) রুবেল মাদবর (২২), (৩). জালাল মাদবর (৩০), (৪). রাসেল মাদবর (২৮), উভয় পিতাঃ লাল মিয়া মাদবর, (৫). লাল মিয়া মাদবর, পিতাঃ মৃত নাজেম মাদবর, (৬). জহিরুল মোল্লা (৩০), পিতাঃ আলতাব মোল্লা, (৭). শাকিল মোল্লা (২৫), পিতাঃ হারুন মোল্লা, (৮). শাহেলা বেগম (২৬), পিতাঃ লাল মিয়া মাদবর, (৯). খাদিজা বেগম (২৫), স্বামীঃ জহিরুল মোল্লা, (১০).৷ রিয়া মনি (১৮), পিতাঃ লাল মিয়া মাদবর, সর্ব সাং-গাববুনিয়া, রাঙ্গাবালী, পটুুয়াখালী। উক্ত নালিশি দরখাস্তটি বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আমিরুল ইসলাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১’ম আদালত পটুয়াখালী, অভিযোকারীদের নালিশি দরখাস্ত সহ যাবতীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সমস্ত নালিশি দরখাস্তে বর্নিত ১নং থেকে ৭ নং আসামীদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য ধারায় এজাহারগন্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ওসি রাঙ্গাবালীকে ০১/০৬/২০২১ ইং তারিখ নির্দেশ প্রদান করেন।স্মারক নং-৮৪৭. তাং-০১/০৬/২০২১ ইং। মামলা সুত্রে জানাগেছে, আসামিরা এলাকায় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, দাংগাবাজ, আইন অমান্যকারী, ত্রাস তান্ডব সৃষ্টিকারী ও বেজাহানী প্রকৃতির লোক। এছাড়াও এলাকায় জমি দখল ভূমিদস্যুতা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে একের পর এক অপরাধ করা তাদের নেশা ও পেশা।ঘটনার তারিখ গত-২৩’মে সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র রামদা, বগি দাও, লোহার রড, সাবল, লাঠি নিয়ে বাদী মস্তফা মাদবরের বসতবাড়িতে ডুকে সন্ত্রাসী তান্ডব চালায়, এসময় মস্তফা মাদবর ও তার স্ত্রীকে রামদার উল্টো পিট দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে এবং খুনের উদ্দেশ্য লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সরে গেলে সেই আঘাত ডান পাশের সিনায় পরে গুরুত্বর আহত হয়।তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে জাহাঙ্গীর মাদবর কেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং তার বুক পকেটে থাকা ৪ হাজার ৫’শত টাকা ছিনিয়ে নেয়।আসামিরা শাহিদা বেগমের গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন আনুমানিক মুল্য ৭০ হাজার টাকা ও ১৪ হাজার টাকার একটি স্যামসাং মোবাইল , ট্রাংকে থাকা মরিচ ও মুগ ডাল বিক্রি করা ৮০ হাজর নগত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়, বাঁধা দিতে গেলে হামলাকরী শাহিদা বেগমের পরিধানের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে লজ্জাশ্লীতাহানি ঘটায়। এছাড়াও আসামিরা ঘরের দরজা, জানালা, আসবাব পত্র ভাংচুর করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং পুর্বে পুকুরে চাষকরা ৮০ হাজার টাকার মাছ জোর পুর্বক ধরে নিয়ে যায়। আহতদের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে খুনের হুমকি দিয়ে বীরদর্পে স্থানত্যাগ করে বিবাদীরা। অভিযোগকারী মস্তফা মাদবর ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম প্রতিবেদককে আরও বলেন, ঘটনার দিন তাদের উদ্ধার করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সেখানে চিকিৎসাৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৩১’মে দুপুর আনুমানিক ১.৩০ মিনিটের সময় মামলার ১-৪ নং আসামী সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জন হসপিটালের সার্জারী মহিলা ইউনিটের মধ্যে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ধামকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিজ করে। শাহিদা বেগম ও তার ভাই বাদশা মৃধা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হসপিটালের সার্জারী মহিলা ইউনিটের মধ্যে মারধর করে এবং হসপিটাল থেকে চলে না গেলে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে বিবাদী আসামিরা চলে যায়। হুমকি ও মারধরের বিষয়ে ঐ দিন শাহিদা বেগম নিরাপত্তার সার্থে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানাগেছে।
Leave a Reply