পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জোড়া লাগা অবস্থায় জমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। রবিবার দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এই জমজ শিশুর জন্ম হয়। সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হতদরিদ্র মোঃ বশির সিকদারের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা রেখা বেগম (১৮) গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। রবিবার সকালে অস্বাভাবিক যন্ত্রনা অনুভব হলে ডাঃ সেলিনা আক্তার সিজারিয়ান অপারেশন করে সন্তান প্রসব করান। রেখা বেগম বর্তমানে স্বুস্থ থাকলেও জোড়া লাগা জমজ শিশুদের স্ক্যানুতে রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ জাকিয়া সুলতানা জানান, “কনজয়েন্ট বেবী তাও আবার প্রিম্যাচিওর, মাত্র ৩২ সপ্তাহে এই জমজ বাচ্চা প্রসব করানো হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তারা রাজী হন নি। এই বাচ্চার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন যা পটুয়াখালীতে সম্ভব না। গত এক মাস আগে এই রোগী আমার কাছে আসলে আমি আলট্্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে বুঝতে পারি বাচ্চার ত্রæটি আছে। পরবর্তীতে ভালভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বরিশালে পরীক্ষা করানো হয় সেই পরীক্ষায় জানাযায় জমজ শিশুদুটি জোড়া এবং তাদের পাকস্থলীও জোড়া লাগানো। পেটের শিশুদের এই অবস্থার কারনে মায়েরও কষ্ট হচ্ছে। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করে অবজারভেশনে রাখা হয়। রেখা বেগমের স্বামী বশির সিকদার জানান, একমাস আগে রেখা বেগম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে ডাঃ জাকিয়া সুলতানার কাছে নিয়ে যান তারা। ডাক্তার পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তাদেরকে বরিশালে আরেকটি পরীক্ষার জন্য পাঠান। ১০ দিন আগে বরিশালে পরীক্ষাটি করাতে গিয়ে তারা জানতে পারেন বাচ্চার ত্রæটি আছে এবং সে কারনেই বাচ্চার মা বারেবারে অসুস্থ হয়ে পরছেন। উন্নত চিকিৎসা নেয়ার কথা বলা হলেও হতদরিদ্র হওয়ার কারনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছেন না তারা।
Leave a Reply