পটুয়াখালী জেলা শহরে আওয়ামী লীগ উদ্যোগে ১৫ আগস্ট রোজ রবিবার সকল থেকে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহদাদ বার্ষিকি ও জাতীয় শোক দিবস ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন জানান স্বাধীন বাংলার মানুষ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেলুট দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন আবদুর রহমান অয়ন বয়স ৭ বছর। আবদুর রহমান অয়ন, এই শোক দিবস উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় সেলুট সম্মান জানিয়ে বেরিয়ে আসার সময় সদর থানার এস আই মোঃ নজরুল ইসলাম এর সাথে সালাম দিয়ে হাত মিলে আসেন আর বলেন। আমি জখন টিভি দেখি তখন বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখি অনেক ভালো লাগে সে জখন হাত ঝুলিয়ে কথা বলে আমার ইচ্ছে করে কোলে উঠি। জাতীয় শোক দিবস। ইতিহাসের জঘন্যতম, নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে ১৯৭৫ সালের এই কালরাতে। এ দিন গোটা বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল সেদিন রাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে ঘাতকের নির্মম বুলেট বিদ্ধ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বুকে। অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু ঘাতকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েও খুনিদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ‘তোরা কী চাস? আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি?’ বঙ্গবন্ধুকে দেখেও হাত কাঁপেনি খুনিদের। সেদিন ঘাতকের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, কর্নেল জামিল। খুনিদের বুলেটে সেদিন আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। ওই সময় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
Leave a Reply