নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দিনেদুপুরে বালু লুটের চলছে মহোৎসব। চারালকাটা নদীর খননকৃত বালু অবৈধভাবে দিনেদুপুরে লুটের মহোৎসবে মেতে উঠছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় বালুর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ট্রলি যোগে বালু লুট হলেও দেখার যেন কেউ নেই। জানা যায়, নদী পুনঃখনন প্রকল্পের অধীনে উপজেলার চারালকাটা নদীর ২৫ কি.মি অংশ খননের জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নদীর খননকৃত বালু নদীর তীর সংলগ্ন স্থানে স্তুূপ করে রাখা হয়। এসব স্তূপকৃত বালু বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে কিছু স্তূপের কয়েকটি লট বিক্রি হয়। অবশিষ্ট বালুর স্তূপ গুলো নিলামে নেওয়ার লোক না থাকায় এখনো বিভিন্ন পয়েন্টে স্তূপকৃত বালু অবিক্রীত রয়েছে।
সেই সব অবিক্রীত বালুর স্তূপ গুলো দিনেদুপুরে লুটে নিচ্ছে এলাকার স্হানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। নজরদারির অভাবে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাহাগিলী ইউনিয়নের পাগলাটারী এলাকায় ও ময়নাকুড়ি জড়িয়াল ঘাটে স্তূপকৃত বালু কাক ডাকা ভোর হতে শুরু করে রাত অবধি বালু বিক্রির মহোৎসব চলছে। অবাধে বালু বিক্রি হলেও দেখার যেন কেউ নেই। বালু বিক্রির লোকজনরা বলছেন তাদের নিজেদের জমিতে বালু থাকায় সেই সূত্রে বালু বিক্রি করে যাচ্ছেন।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার এর কাছে সরকারি বালু অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে এই মর্মে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল কে লোক পাঠিয়ে অবৈধভাবে বালু বিক্রি বন্ধ করা হবে। এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত চক্রবর্তী বলেন,’জিরো টলারেন্স’আইন বহির্ভূত কোনো কর্মকান্ড, কোনো ভূমিদস্যু বা কোনো অপরাধ চক্র আইন বহির্ভূত কাজ করলে এটা জিরো টলারেন্স হবে। সরকারি বালু অবৈধভাবে বিক্রি করলে কোনো ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
Leave a Reply