‘উন্নয়নের গণতন্ত্র-শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার খানাবাড়িসহ এলাকার যমুনা নদী ভাঙ্গন রক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শুভ-উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ গাইবান্ধা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনি ও সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে ভিত্তিপ্রস্তর ¯স্থাপন শেষে গোঘাট খানাবাড়ি ¯স্থাপন নদীর পাড়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ গাইবান্ধা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি। হুইপ তার বক্তব্যে বলেন, যাতে মানুষের দুর্ভোগ কম হয়। জনগনের জানমালের ক্ষতি রক্ষার্থে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজটা হলে এলাকার জনগণ উপকৃত হবে। যারা জনগণ তারা ক্ষতিগ্রস্ত’ হলে আমরাও ভালো থাকি না। আমরা সর্বদাই চেষ্টা করি যাতে প্রকল্প গুলোর ঠিকমত হয়। গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুন্দরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, বাঁধের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এ এলাকার দারিদ্র্য বিমোচনে আরো প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। বাঁধ নির্মাণে এলাকার সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে এলাকার উন্নয়ন দ্রুতগতিতে হবে। তিনি আরো বলেন, সুন্দরগঞ্জ বালাছিড়া মোড়ে ৫০ কোটি টাকা খরচ করে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) নির্মাণ করা হবে। সেখান থেকে ছেলে-মেয়েরা প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষিত হয়ে বিদেশ যেতে পারবে। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরহাদ আবদুল্লাহ হারুন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দা খুরশীদ জাহান স্মৃতি। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবিএম মাহবুবুল আলম। উল্লেখ্য; বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধার বাস্তবায়নে ১৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুণরাকৃতি করণ হবে। এর মধ্যে নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ সদর উপজেলার কামারজানি এলাকার ১ হাজার মিটার, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর এলাকা ১৬শ’ মিটার, লালচামার এলাকা ১২শ’ মিটার, কাপাসিয়া এলাকা ৮শ’ মিটার, হরিপুর এলাকা ৫শ’ ৫০ মিটার, ছয়ঘড়িয়া এলাকা ৬শ’ মিটার।
Leave a Reply