শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট, হৃদরোগ ঝুঁ‌কি এবং করণীয় বিষয়ে ময়মনসিংহে সে‌মিনার অনুষ্ঠিত।

জুবায়ের খন্দকার, ময়মনসিংহঃ-
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৮২৮ বার পঠিত

২৬শে জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ক্যাবের উদ্যোগে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট, হৃদরোগে ঝুঁ‌কি এবং করণীয় বিষয়ে এক সে‌মিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ময়মনসিংহের সভাপতি এডঃ এমএ কাশেমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন-ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান এনডিসি। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন- ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান, ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম মসিউল আলমসহ আরো অনেকে।

অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা-ট্রান্সফ্যাট গ্রহণ এবং হৃদরোগ ঝুঁকির উচ্চহার ব্যাপকভাবে সর্ম্পকযুক্ত। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর একক কারণ হিসেবে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগের অবস্থান শীর্ষে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও)-এর হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিবছর ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে এবং কেবল ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। শুধু বাংলাদেশে প্রতিবছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যায়, ৪ দশমিক ৪১ শতাংশের জন্য দায়ি ট্রান্সফ্যাট। উদ্বেগজনক বিষয় হলো হৃদরোগীদের করোনা সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকগুণ বেশি।

বক্তারা আরো বলেন-ভেজিটেবল অয়েল বা উদ্ভিজ্জ তেল (পাম, সয়াবিন ইত্যাদি) যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেশন করা হলে তেল তরল অবস্থা থেকে কঠিন আকার ধারণ করে অর্থাৎ জমে যায় এই প্রক্রিয়ায় ট্রান্সফ্যাটও উৎপন্ন হয়। এছাড়া ভাজা পোড়া খাদ্যে একই ভোজ্য তেল উচ্চ তাপমাত্রায় বারবার ব্যবহারের কারণেও খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট সৃষ্টি হয়। তবে পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা পিএইচও ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস। এই পিএইচও বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে অধিক পরিচিত। তাই এগুলো থেকে দুরে থাকতে সকলকে আহবান জানানোসহ হৃদরোগের ঝুঁ‌কি এড়াতে সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চসীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন এবং কার্যকর করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হয় পাশাপাশি সহায়ক পদক্ষেপ হিসেবে মোড়কজাত খাবারের পুষ্টিতথ্য তালিকায় ট্রান্সফ্যাটের সীমা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা, উপকরণ তালিকায় পিএইচও’র মাত্রা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা, ফ্রন্ট অব প্যাকেজ লেবেলস বাধ্যতামূলক করা যা খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতি নির্দেশ করবে এবং ‘ট্রান্সফ্যাট-মুক্ত’ বা ‘স্বল্পমাত্রার ট্রান্সফ্যাট’ এ জাতীয় স্বাস্থ্যবার্তা ব্যবহারে বিধি-নিষেধ আরোপ করেন। বক্তারা এসব পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা হলে হৃদরোগজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যু কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হ্রাস পাবে এবং অসংক্রামক রোগ সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজির ৩.৪ নম্বর লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন-ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাসহ ক্যাব ময়মনসিংহের নেতৃবৃন্দরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =

এ জাতীয় আরো খবর..