খুলনা জেলার সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে গোড়ে ওঠা কয়রা উপজেলার ও সুন্দরবন সীমারেখা এক প্রান্তে অবস্থিত মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন এর, হড্ডা নামক গ্রাম।
তাহার আরেক প্রান্ত দিয়ে বয়ে গেছে শিপসা নদী যাহা বঙ্গোপসাগরের যেয়ে মিলিত হয়েছে। বাংলাদেশ লাল সবুজের দেশ, সবুজে সবুজে ভরা এ দেশটি মোদের বাংলাদেশ, কিন্তু দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে হড্ডা গ্রামবাসীরা সুজলা, শুফলা আবাস থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘ ৩০বছর ধরে কোন এক অশুভ শক্তি গ্রাস করে রেখেছে গ্রামবসীকে। কিছু লোকের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করার অসৎ উদ্দেশ্যে শিবসা নদীর বেড়িবাঁধের তলা দিয়ে অবৈধ উপায়ে কল/পাইপ বসিয়ে নোনা পানি সরবরাহ করে অবাদে চিংড়ি চাষের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সেজন্যে উক্ত এলাকায় যেমন মিষ্টি পানির সংকট, তেমনি চলাচলের অনেক অসুবিধা। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আতংক গ্রস্ত ভাবে বসবাস করতে হচ্ছে গ্রাম বাসীদের। বর্তমান ইয়াসের বিধ্বস্থ অবস্থায় আছে ওয়াপদার বেড়িবাঁধ, হয়তো বা যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে প্লাবিত হতে পারে কয়রা পাইকগাছা বৃহত্তম এলাকা। কয়রা পাইকগাছা জাতীয় সংসদ সদস্য, জনমানুষের আস্থাভাজন আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি হওয়ার পর থেকেই কয়রা পাইকগাছার আপামোর জনসাধারণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবুর সংসদ অধিবেশন প্রথম থেকেই কয়রা পাইকগাছার অবহেলিত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের কথা বলেন। বিশেষ করে টেকসই বেড়িবাঁধ এর কথাটা তার মুখে লেগেই আছে । বর্তমান সরকারের আর্থিক সহায়তায় ওয়াপদা অফিস এর তত্ত্বাবধানে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নেন হড্ডা পূর্বচকে ১কিলোমিটার ওয়াপদার বেড়িবাঁধের কাজ চলেমান আছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত বেড়িবাঁধের তলা দিয়ে কোন পাইপ বসানো যাবে না এবং ফসলি জমিতে নোনা পানির ঘের করা যাবে না। ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের তলা দিয়ে ৮জায়গায় পাইপ স্থাপন করা ছিল। তবে এম পি আক্তারুজ্জামান বাবুর নির্দেশক্রমে, গ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় ৫ জায়গায় পাইপ উচ্ছেদ করা হলেও ৬নং পাইপ কোনো এক অশুভ শক্তির কারনে উচ্ছেদ করতে না পারাই এলাকার জনমানুষের ভিতরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় উক্ত অবৈধ ৬নং পাইপ মালিক বিপ্লব মিস্ত্রি (৪৬) পিতা- খগেন্দ্রনাথ মিস্ত্রী, গ্রাম পূর্ব হড্ডা, মহেশ্বরীপুর, কয়রা খুলনা। স্থানীয় লোকজন জানান, ৫টা পাইপ উঠানোর জন্য বিপ্লব মিস্ত্রী সকলের সাথে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে তবে তার নিজের টা যখন উঠনো হচ্ছে, তখন কোন এক অশুভ শক্তিতে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি বাধা সৃষ্টি করে, একপর্যায়ে স্থানীয়দের সাথে বিপ্লব এর লোকজনের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। পার্শ্ববর্তি হড্ডা ক্যাম্পের পুলিশ এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে। এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান বাবু বিজয় কুমার সরদারের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২দিন যাবৎ এলাকা বাসীর সাথে বিভিন্ন রকম আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ন্ত্রে রাখেন। বিষয় টি সাংসদ মহাদ্বয় জানতে পেরে, কয়রা উপজেলা নির্বাহি অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস ও কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেনকে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক, ওয়াপদার নিচে অবৈধ পাইপ উচ্ছেদ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই পেরিপেক্ষিতে ৮জুলাই ২০২১, বেলা ১১ঘটিকায়, ঘটনা স্থল পরিদর্শন শেষে, পূর্ব হড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, এলাকার বাসিদের নিয়ে মতামত ও আলোচনা আনুষ্ঠান, অনুষ্ঠিত হয়। এরই মধ্যে এম পি, আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু তার প্রতিনিধির মাধ্যমে ফোন কলে, এলাকায় জনমানুষের সাথে কথা বলেন এবং নোনা পানি উঠানোর, সমস্ত কল/ পাইপ উচ্ছেদ হবে বলে আসস্থ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা নির্বাহি অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন কয়রা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কমলেশ কুমার সানা, কয়রা মহেশপুর ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান বাবু বিজয় কুমার সরদার, আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন মোঃ রেজাউল সরদার স্থানীয় ইউপি সদস্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও এলাকার সাধারণ জনগণ উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্যে অধিকাংশ বক্তারা বলেন নোনা পনি বন্দ হলে প্রায় এক হাজার একর জমি চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং এলাকার রাস্তাঘাট ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে। এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করা হলেও স্থানীয়রা বলেন ৩ কিলোমিটারের মধ্যে ২টি সুইচ গেট আছে তা দিয়ে পানি নিষ্কাশন হবে বলে জানান। মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবু বিজয় কুমার সরদার বলেন আমার এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য যা কিছু করণীয় আমি চেষ্টা করব করার জন্য এবং জনমানুষের যেদিকে আমি তাদের সাথে নিয়ে কাজ করতে চায় তারা যদি এলাকায় নোনা পানি ঢুকাতে না চায় আমি তাদের সাথে একত্রিতভাবে কাজ করব বলে জানান সর্বোপরি উপজেলা নির্বাহি অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস উক্ত বেড়িবাঁধের তলা দিয়ে সমস্ত পাইপ উচ্ছেদ হবে বলে আশ্বস্ত করেন। যদি পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনে কোনো কিছু করা লাগে সেটা পরবর্তীতে দেখা যাবে, তবে দুই দিনের ভিতর সমস্ত পাইপ উচ্ছেদ করবে বলে জানান ও পাইপ উচ্ছেদের সমস্ত দায়ভার নিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং আইন নিজের হাতে না তুলে না নিয়ে সকলকে ধৈর্য ধারণ করার আহবান জানান।
Leave a Reply