উপজেলা সদর হয়ে কাশিরহাট গামী সড়ক ও জনপথ বিভাগের কয়রা-নওয়াবেঁকি রাস্তার ৭ কিলোমিটার জুড়ে বড় বড় খানাখন্দে ভরে ওঠায় রাস্তাটি দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
গত বছরে ঘূর্নিঝড় আম্পানে কপোতাক্ষ নদের কাশিরহাট, গাজীপাড়া, ২নং কয়রা, হরিণখোলা ও ঘাটাখালির বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে একটানা দু’মাস জোয়ার ভাটা ওঠামানায় সত্তজে’র এ রাস্তাটির ওপর দিয়ে খাল, পুকুর ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ এক বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত সড়কটি মেরামতের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে ৩টি ইউনিয়নের লোকজন ঠিকমতো যাতায়াত করতে পারছেন না। উপজেলা সদরের ওপর দিয়ে মানুষের চলাচলের একমাত্র সত্তজে’র এ রাস্তাটি ভেঙেচুরে যাতায়াতের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানিতে বড় বড় খানাখন্দগুলো ভরে উঠেছে এবং রাস্তার এক পাশ দিয়ে ড্রেন খুড়ে ফেলে রাখায় চরম বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তাটির বেহাল দশা বিরাজ করছে কিন্তু সত্তজ কর্তৃপক্ষ মেরামতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ, অষন্তোষ দেখা দিয়েছে। কয়রা বাজারের ব্যবসায়ি গোলাম রসুল বলেন, রাস্তার ওপর নোংরা পানি জমে কর্দমাক্ত হওয়ায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বর্তমানে ভঙ্গুর এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা বিপদজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২নং কয়রা গ্রামের স্কুল শিক্ষক মাহফুজুর রহমান জানান, তার বাড়ির সামনে সত্তজে’র রাস্তায় গর্ত হয়ে পুকুরের সৃষ্টি হয়েছে। কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাঃ হুমায়ুন কবির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সত্তজে’র রাস্তার বেহাল দশার কথা উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য সত্তজে’র খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদের মোবাইল ফোনে রিং করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply