মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

কয়রায় লোনা পানি উত্তোলনে  অনিশ্চিত আমন ধান চাষ করা।

মোঃ রউফ কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি। 
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ মে, ২০২২
  • ১৬৮ বার পঠিত
ইজারাকৃত মিঠা পানির খালে লোনা পানি ওঠানোর কারণে স্থানীয় কৃষকদের একশো একর  জমিতে আমন ধান  চাষ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এতে করে চরম  বিপাকে ও হতাশায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। খুলনা কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিনাপানী এলাকায় সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটছে ।স্থানীয় কৃষকেরা প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় প্রশাসের কাছে অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিনা পানি সুইচ গেট দিয়ে উত্তর জোড়শিং খালে লবন পানি উঠানো হয়। পানি উঠানোর কারণে খালের আশে পাশে থাকা একশো  একর  কৃষকের আমন ধান চাষের প্রস্তুতু রাখা জমি প্লাবিত হয়ে লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। একাধিক কৃষকের অভিযোগ করে বলছে , বার বার এ এলাকা জল-উৎসের  কবলে পড়ে প্লাবিত হয়।  তাই লোনা  পানির অগ্রাসন থেকে বাঁচতে তারা মিঠা পানির ফসলের সিদ্ধান্ত নেন। বিগত কয়েক বছর ধরেধান চাষ করে লাভবান হচ্ছি।
কিন্তু উত্তর জোড়শিং খালটি স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল মান্নান কারিগর ইজারা নেওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত মাছ চাষের জন্য বিভিন্ন ভাবে লবণ পানি উঠানোর পায়তারা করে।
বাঁধা প্রদান করলে ভয় ভীতি দেখান। গত কয়েক দিন আগে প্রভাব খাটিয়ে লবন পানি উঠালে পাশ্ববর্তী একশো একর জমি  প্লাবিত হয় লবন পানিতে। অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে আমন ধান  চাষ করা।  কৃষক মৃনাল কান্তি বলেন, খালটি আগে আমি ইজারা নিয়েছিলাম মাছ ও ধান চাষ করতাম আমার সহ আশে পাশে কৃষকদের উপকার হতো। এবার লবণ পানি তোলায় আমাদের আমন চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ধান লোনা পানিতে তো হবে না আমরা কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবো, কিভাবে সংসার চলাবো তা নিয়ে আমরা খুব  চিন্তিত।আমরা মান্নান কারিগরকে মিঠাপানির খালে লবন পানি না উঠাতে  একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও, তিনি শোনেননি, জোর করে সে লোনা পানি  ওঠায়।
আরেক কৃষক গোপাল বিশ্বাস বলেন, জোর করে  মাছের ঘেরে (খালে) লবন পানি উঠানোর কারণে আমার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। খাল এজারা নেওয়া  আব্দুল মান্নান কারিগর  বলেন পাশের ঘের থেকে পানি চুইয়ে (অভার ফ্লো) হয়ে আসছে তা থেকে আমার কিছু করার নেই। এবিষয়ে অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তন্ময় মন্ডলের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলতে চাইলে একাধিক বার ফোন করে ও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।    এব্যাপারে কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি  জানান, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি,  কারা এর সাথে জড়িত তাদের  বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 9 =

এ জাতীয় আরো খবর..