রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন

কয়রায় পউবার ভেঙেযাওয়াই বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় জনগন চরম দুর্ভোগে ।

মোঃ রউফ কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১
  • ৫৯৯ বার পঠিত

খুলনার কয়রা উপজেলা উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাতিরঘেরি এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ এর কারনে গত ২০ মে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়  ।

বেড়িবাঁধ এখনো মেরামত করা হয়নি, গাতিরঘেরি এলাকার বেড়িবাঁধ প্রায় ১শ ফুট রাস্তা, ইয়াশ প্রভাবে সৃষ্টি জলোচ্ছাসে ভেঙে গিয়ে গত ২০দিন যাবৎ লোনাপানি ওঠানামা করলে ও এখনো পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধটি মেরামতের কার্যকারী কনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। দৈনিক দুবার জোয়ারের পানি লোকালয় প্রবেশ করে পুরো গাতিরঘেরি এলকা লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে। মানুষের বসতবাড়ি,মাছের ঘের, পুকুর ও রাস্তা ঘাট সবকিছু পানির নিচে তলিয়ে থাকায় এখানকার হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন পার করছেন।সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক জরুরী সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আক্তারুজ্জামান বাবু ক্ষতিগ্রস্ত দশালিয়া ও গাতিরঘেরির বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামত করতে কর্মকর্তা কে নির্দেশ দেন।সভায় উপস্থিত পাউবার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামতের আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত গাতিরঘেরির বাঁধ মেরামতের কনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে এলাকার জনসাধারণে মধ্যে চরম খোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। ইউপি মেম্বার রমেশচন্দ্র সরকার জানিয়েছেন ২২দিন যাবৎ অতিবাহিত হলো কিন্তু গাতিরঘেরির বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৎপরতা নেই। এ অবস্থায় এলাকার মানুষ মারাত্বক বিপদের মধ্যে দিন পার করছে। এব্যাপারে পউবার কর্মকর্তারা বলেন জাইকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাতিঘেরি বাঁধের ১২শ মিটার মেরামত করার কথা ছিল। কয়েকদিন আগে জাইকা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে বাঁধ মেরামতের প্রয়োজনীয় আর্থায়ন না পেয়ে চলে গেছে বলে জানান সেকশন কর্মকর্তা মশিউল আবেদিন। ফলে বাঁধ টি মেরামত করা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। উত্তর বেদকাশী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ সরদার নুর ইসলাম কোম্পানির খোভ প্রকাশ করে বলেন উধ্বরতন কতৃপক্ষ বার বার ক্ষতিগ্রস্থ গাতিরঘেরি বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করছেন কিন্তু বাঁধ মেরামতের কনো উদ্যোগ দেখে যাচ্ছেনা। বর্তমানে এলাকার সাধারণ মানুষ সীমাহীন দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিন পার করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =

এ জাতীয় আরো খবর..