কয়রায় জোরপূর্বক বাসতবাড়ি দখলের চেষ্টা ও হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মদিনাবাদ গ্রামের মৃত এসএম আব্দুল গফফার এর পুত্র শিক্ষক এসএম জাহিদুজ্জামান বাবুল।
আজ ৩১ মার্চ বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বিশেষ একটি কুচক্রী মহলের সড়যন্ত্রের স্বীকার যার ফলশ্রুতিতে আজ এই সংবাদ সম্মেলন। তিনি বলেন কয়রা মৌজায় এস,এ ৯৩৪ খতিয়ানে ২৪৭৪,২৪৮৪ ও ২৪৭৫ দাগের মধ্যে থেকে ০.৫৭৫ একর জমি গত ০৯-০১-২০০৬ তারিখ ২৯ নং কোবলা মুলে ১ নং কয়রা নিবাসী মৃত সুপদ সরকারের পুত্র সুকুমার সরকারের নিকট থেকে খরিদ করে যথা নিয়মে কর খাজনা পরিশোধ করে আসছি। উক্ত জমি সোনালী ব্যাংক কয়রা শাখায় দলিল রেখে ৩ লাখ টাকা লোন নিয়ে ওই জমিতে বাড়ি ঘর নির্মান করি।
সেখানে টিউবওয়েল বসাই এবং বৈধ্যুতিক মিটারের সংযোগ নেই। বাড়িটি বর্তমানে আশাশুনি উপজেলার চাকলা নিবাসী রুহুল আমিন শেখের পুত্র সামছুর রহমানের নিকট ভাড়া দেই। উক্ত ভাড়াটিয়া তার পিতার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার সুযোগে আমার প্রতিপক্ষ ১ নং কয়রা গ্রামের বিবেকান্দ সরকারের কন্যা শ্যমলী সরকার তার লোক জন নিয়ে গত ২৮ মার্চ আনুমানিক বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটের সময় আমার বাড়িঘরের, ঘেরাবেড়া,রান্নাঘর,বাথরুম,মুরগীর ঘর,টিউবওয়েল ভেঙ্গে ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে বসতবাড়ি দখল করার পায়তারা করে। সে সময় আমি আমার কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় মোবাইলে সংবাদ পাই যে ,আমার বাড়ি কে বা কাহারা দখল করে নিচ্ছে। আমি তৎক্ষনাৎ আমার প্রতিষ্টান থেকে ছুটি নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সে সময় তাদের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই নিরাপদ মন্ডল আমার বামহাতে রড দিয়ে আঘাত করে এবং এর পরপরই সৌরভ সরকার আমার মাথার বামপাশে দা দিয়ে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আমি মাটিতে পড়ে গেলে ৬/৭ জন আমাকে মারপিট করে জখম করে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে একটি মহল মিথা মানববন্ধন করে আসল ঘটনা ধামা চাপা দিতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি উৎঘাটনের জন্য প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষরা ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
Leave a Reply