খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা ৪ টি অবৈধ চিংড়ি শুঁটকি খঁটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথ অভিযানে খঁটি উচ্ছেদ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, খুলনাৱ সহকারী বন সংরক্ষক মো: আবু সালেহ, কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা মো: আখতারুজ্জামান, বানিয়াখালি স্টেশন কর্মকর্তা নির্মলন্দ সরকার, নলিয়ান স্টেশন কর্মকর্তা মো: ইসমাইল হোসেন, খুলনা রেঞ্জের স্মার্ট টিমের প্রধান মো জহিরুল ইসলাম ও কয়রা থানা পুলিশের একটি টিম।সুন্দরবন থেকে বিষ দিয়ে মারা চিংড়ি মাছ জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করে আগুনের তাপে তা শুকানো হয়। যেসব জায়গায় এই কাজ করা হয় সেগুলোই শুঁটকি খঁটি। এসময় কর্মকর্তারা বলেন,সুন্দরবনের চিংড়ির ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা আরো কয়েকটি অবৈধ শুটকি খঁটি দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।
গত কয়েকদিন যাবত স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বিষ দিয়ে ধরা সুন্দর বনের চিংড়ির ওপর নির্ভর করে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় লোকালয়ে গড়ে ওঠা এ সকল অবৈধ শুটকি খঁটিতে কাঠ পুড়িয়ে চিংড়ি শুকানোর কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছিল। ধ্বংসের মুখে পড়েছিল সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ বলেন, সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের পেছনে একটি বড় ভূমিকা রাখে শুটকি ব্যাবসায়রা ।বিষ দিয়ে ধরা মাছ অন্য কোথাও বিক্রি হয় না। সেগুলো সাধারণত ডিপোতে কম দামে কিনে শুঁটকি করে বেশি দামে বিক্রি করে। লাভজনক হওয়ায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই শুঁটকির ডিপোগুলো কখনো বন্ধ করা যেত না।
তবে পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু নাসের মোহসিন হোসেন যোগদান করার পর থেকে ওই শুঁটকি কারখানা খঁটি উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন। তারই সার্বিক নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ডিপোগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এর ফলে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা অনেকাংশে কমে যাবে।সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন,সুন্দরবনকে ভালো রাখতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহয়তায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply