সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

কেশবপুরে যথাযথ মর্যাদায় পালিত শোকাবহ ১৫ ই আগস্ট ।

উজ্জল অধিকারী, কেশবপুর(যশোর) প্রতিনিধি ।
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১
  • ৩৯৮ বার পঠিত

 কেশবপুরে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে শোকাবহ ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বাঙ্গালী জাতির শোকের দিন ,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়। ৪৬ বছর আগে এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। কেশবপুর উপজেলায় যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী পালনের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল। বঙ্গবন্ধু ছাড়া ও ১৫ আগস্ট রাতে ধানমণ্ডির বাড়িতে তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কেও হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং নিকটাত্মীয়সহ ২৬ জনকে ওই রাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি এই স্বাধীন বাংলাদেশ । ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ফলে জাতীয় শোক দিবস পালনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছিল। কেশবপুরের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছিল। কেশবপুরের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছিল।উপজেলা প্রশাসন আলোচনা সভা, চিত্র অংকন,৭ই মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিলসহ জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। সূর্যোদয়ের সময় কেশবপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভবনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনমিত) করা হয়েছিল। সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে এবং নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, ও মোনাজাত করা হয়েছে।১০:৩০ মিনিটে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে অসচ্ছল, দুস্থ মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =

এ জাতীয় আরো খবর..