নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অধিক লাভের আশায় মিষ্টি কুমড়া চাষে স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা। মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে খরচ কম এবং অধিক লাভবান হবার কথা চিন্তা করে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে যাচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন পেশার মানুষ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে মিষ্টি কুমড়া ক্ষেতে চাষিরা তাঁদের সাধ্যমত পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। কেউ বা আগাম করে মিষ্টি কুমড়া বাজারে তুলছেন।
নিতাই ইউনিয়নের পানিয়ালপুকুর গ্রামের মিষ্টি কুমড়া চাষি সাদুল ইসলাম জানান, আমি আগাম করে আলু রোপণ করেছিলাম। সেই আলু ক্ষেতে মিষ্টি কুমড়ার বীজও রোপণ করে ছিলাম। আলু তুলে নিয়ে এখন মিষ্টি কুমড়ার পরিচর্যায় নেমে পড়েছি। আমি আমার ৫ বিঘা জমিতে ব্যাংকক-১ জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। আশা করছি ফলন ও ভালো দাম পেলে আমি অনেক লাভবান হবো।
একই গ্রামের শাহিন ইসলাম জানান, অনন্যা ফসলের থেকে মিষ্টি কুমড়া চাষে খরচ একবারেই কম। এবং খরচের তুলনায় লাভ অনেক বেশি। তিনি আরও জানান, এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদে খরচ হয় মাত্র ১০-১৫ হাজার টাকা। এবং এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয় প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা। অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়ার আশায় আমি আমার প্রায় ৫ বিঘা জমিতে ব্যাংকক-১ জাতের মিষ্টি কুমড়া লাগিয়েছি। আমি আশা করছি ফলন ও ভালো দাম পেলে কিছু হলেও লাভবান হবো।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গতবারের চেয়ে এবার তুলনামূলক ভাবে মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ হয়েছে। এবং এবছর মোট ১৮০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ হয়েছে। তারা আরও বলেন ফলন ও ভালো দাম পেলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবে।
Leave a Reply