ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কচুয়া নতুন বাজারে আজ জমে উঠেছে কোরবানী ঈদের বাজার।
১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত কচুয়া উপজেলার হাজরাখালী নতুন বাজারের সামনে কোরবানীকে সামনে রেখে বিক্রির জন্য সকাল থেকেই খামারিরা গরু নিয়ে আসতে শুরু করে।দুপুর গড়াতেই ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত হয়ে ওঠে বাজার।এবার ভারতীয় গরু বাজারে না আসায় খামারীরা নেয্য মূল্য পাওয়ার আশা করছে।গরু ছাড়াও কিছু খাসিও বিক্রয় এর জন্য বাজারে উঠিয়েছেন খুদ্র খামারিরা। বাজারে লোক সমাগম দেখে বোঝার উপায় ছিলনা দুদিন আগেও কঠোর বিধিনিষেধে ঘরবন্দী ছিল মানুষ।তবে বাজার মনিটরিংএ প্রশাসন সর্তক অবস্থানে ছিল।সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত মহল বাজার পরিদর্শনে আসেন।তিনি বাজার কমিটি এবং সেচ্ছাসেবকদের করোনা কালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় হাট পরিচালনা করার জন্য সর্তক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেন।পরে তিনি বাজার ঘুরে দেখেন ও বেশ কয়েকজন খামারিদের সাথে গরুর দাম-দর নিয়ে কথা বলেন।এসময় তার সাথে কচুয়া প্রশাসনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৪ টায় ২য় দফায় সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায় লোক সমাগম আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।এসময় কয়েকজন খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,এবছর করোনা কালীন পরিস্থিতি থাকায় বেচা-বিক্রি কিছুটা কম।তবে গত বছরের চেয়ে দাম এবছর কিছুটা বেশি বলে মনে হচ্ছে।আগামী হাটে এ অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। এদিন বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সেচ্ছাসেবক ও প্রশাসনকে হিমসিম খেতে দেখা গেছে।তবে মাস্ক ব্যাবহারে সকলের মাঝে সচেতনতা লক্ষ করা গেছে।বাজার কমিটির পক্ষ থেকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য আলাদা স্থানের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে।উপজেলা প্রানীজ সম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে একটি টিম সর্তক অবস্থানে রয়েছে।জাল টাকা সনাক্তকরণে একটি ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে।সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে প্রশাসন। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে এ বাজার।এছাড়াও কচুয়া উপজেলায় বাঁধাল,গোয়ালমাঠ সহ আসপাশে আরো কিছু এলাকায় হাট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে।
Leave a Reply