প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে কচুয়াবাসীকে রক্ষা করার জন্য ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকান ও জনসাধারন মাক্স না পড়ার অপরাধে কচুয়ায় কঠোর লকডাউনের ৪র্থ দিনে কচুয়া উপজেলার কচুয়া বাজার, সাইনবোর্ড বাজার, বাধাল ও গোপালপুর বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৫টি মামলা করে ২হাজার ২শত পঞ্চাশ টাকা জরিমানা আদায় করেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল। এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: ফিরোজ আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে কচুয়া উপজেলার কচুয়া বাজার, তালেশ্বর বাজার, ভাষা বাজার, ধোপাখালী ও শিয়ালখাঠী বাজার এবং দেপাড়া বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দোকান্দারদের ও পথচারীদের নিকট থেকে জরিমানা আদায় করেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহেরা নাজনীন।
তিনি কচুয়া উপজেলার কচুয়া বাজার, তালেশ্বর বাজার, ভাষা বাজার, ধোপাখালী ও শিয়ালখাঠী বাজার এবং দেপাড়া বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ টি মামলা করে ১হাজার ১শত টাকা জরিমান আদায় করেন। তিনি কচুয়ায় কঠোর লকডাউনের ৪র্থ দিনে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানের ব্যাবসায়ী ও জনসাধারন মাক্স না পরার অপরাধে ও মাক্স ব্যবহারে সচেতনতা সৃস্টির লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল এর সাথে কচুয়া থানা অফিসার ইন চার্জ মো: মনিরুল ইসলাম ও উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও বাজারে বাজারে তারা পুলিশ বাহিনীর দ্বারা টহল জোরদার করেছেন ও অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে কাউকে না বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল কচুয়া বাজার সহ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ও দোকানের সামনে মাক্স বিতরন করেন।এ সময় তাঁর সাথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থেকে টহল দেন।
লকডাউনের ফলে দুরপাল্লার পরিবহন সহ সব গনপরিহন বন্ধ রয়েছে। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায়, এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে লোকজনের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। কচুয়া থানা অফিসার ইন চার্জ মো: মনিরুল ইসলাম সহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কচুয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেড় হলেই প্রতিদিনের মতো আইনশৃংখলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারন জনসাধারনের। জরুরী সেবা প্রদান কারী পরিবহনগুলো ছাড়া লকডাউনের ৪র্থ দিনে উপজেলার সব ধরনের যাত্রীবাহী গনপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ ছিল ।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবা ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সকালের দিকে কিছু মুদি দোকান সীমিত আকারে কাঁচা মালের দোকান খোলা দেখা গেলেও তা বিকাল ৫টার মধ্যে বন্ধ করতে হচ্ছে। তবে বাজার গুলোতে জনসাধারনের উপস্থিতি ও ছিল খুবই কম।
Leave a Reply