কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ীর সাজেদা বেগমের নাতি ও নাত বৌয়ের উপর দুষ্কৃতকারীদের হামলা ও বাড়ী ঘর ভাংচুর করেন গত ১৯শে এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে। সাজেদা বেগম বলেন গত ১৮ই এপ্রিল রাত ৮:৩০মিনিটের সময় ২নং বিবাদী শরীফ (২২)পিতাঃনবীর হোসেন নামে তার মামাতো ভাইয়ের পুকুর হইতে মাছ ধরতে গেলে, আমার নাতি রাসেল তাকে বাঁধা দেন।বাঁধা দেওয়ার প্রেক্ষিতে দুজনের মধ্যে এক পর্যায়ে তর্কে জড়িত হন। তর্কাতর্কি করার পর ২নং বিবাদী শরীফ সে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ও তার পরিবারের সকলকে নিয়ে এসে গত ১৯শে এপ্রিল এ সময় রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আমার বাড়িতে ডুকে,আমার ঘরের দরজা জানালা,পিঠাইয়া ও আমার নাতি ও নাত বৌ-কে এবং পরিবারের সকলের উপর এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিঠ করিয়া শরীরে বিভিন্ন স্হানে ক্ষতবিক্ষত ও জখম করে ফেলে। এ হামলায় আশেপাশের লোকজন ডাক চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।পরে আমি ও আমার পরিবারের সবাই এলাকার নেতৃত্ব স্হানীয় লোকদের এ ঘটনাটি অবহিত করি। এ ঘটনার স্বাক্ষীদের উপর দুষ্কৃতকারীরা হুমকি ধামকি প্রদর্শন করলে,কেউ স্বাক্ষী দিতে রাজি হতে চায়না,কারন দুস্কৃতকারীরা স্হানীয় এলাকার কোন সালিশী মানতে চায়না, তাই আমি ও আমার পরিবারের হামলা স্বীকারকারীরা এলাকাবাসীর পরামর্শে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি। এ ঘটনার দুষ্কৃতকারীরা হলেন-১/মোঃআনোয়ার হোসেন (৩৫)পিতাঃআরব আলী, ২/শরীফ (২২) পিতাঃনবীর হোসেন,৩/দেলোয়ার হোসেন(২৫)পিতাঃআরব আলী,৪/হাছন(২০)পিতাঃ আরব আলী,৫/মোখলেছ(৩০)পিতাঃজুনাব আলী সর্বসাং সহদেবপুর।
এ ঘটনায় আরোও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত নামায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ দিকে সাজেদা বেগম বলেন আমি প্রশাসনের নিকট জোড়ালো দাবী জানাচ্ছি দুস্কৃতকারীদের ধরে এনে আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়া হোক।
Leave a Reply