বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন

আফসোস আর হতাশায় দিন কাটছে নিম্ন-মধ্যবিত্তের।

শেখ মসিউর রহমান নয়ন
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৮২ বার পঠিত

এমনিতেই অধরা সুখ নামের পাখি। আবার ধাপেধাপে দ্রcব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির তুফান মেইলতো চলছেই। যেন মরার উপর খাড়া।

কোনভাবেই সুখের দেখা মিলছে না নিম্ন- মধ্যবিত্তের। মিলবে কিনা কোনদিন, তারও কোন হদিস নেই। প্রতিনিয়ত দুঃখ-দুর্দশা লেগেই আছে। সুখ যেন পূর্ণিমার চাঁদ। বাজার দুর্নিতি বন্ধ হলেই বুঝি সুখ নামক বস্তুটির দেখা মিলবে!!! এই ধারণায় আসায় বুক পেতে আছে লক্ষ কোটি পরিবার। নেই কোন বলার ভাষা। আবার নেই কোন নতুন করে বাঁচার আশা। কি করলে কোথায় গেলে, কতটুকু শ্রম মেধা ব্যায় করলে একটু মিলবে সুখের দেখা? ক্লান্ত মন ও শরীর নিয়ে মাথা ঘুচবে? তার ও নেই কোন উপায়-আন্ত। বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎবিল অতিতের তুলনায় এখন প্রায় চারগুন!! দিশেহারা সাধারণ মানুষ। কাটবে কি এই মহাসংকট?
এই প্রশ্নটিই প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খাচ্ছে প্রতিটি নিম্ন- মধ্যবিত্ত সহ বিশাল একটি জনগোষ্ঠির মাথায়।
আর এই একটিমাত্র প্রশ্নের কাছেই জীবনের প্রতিটি চলমান প্রশ্ন যেন থমকে গেছে। যাকে এক কথায় বলা যায় জীবনের বেহাল দশা!! বলছেন সাধারণ চাকুরীজিবি থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষ। । আর এই বেহাল দশায় ঘষামাজা দিয়ে কিছু সময় পার করলেও সামনের সময় গুলো হতাশার আপেক্ষিক দুরআশা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করছেন তারা।
আবার, প্রতিটি নিত্য পণ্যের দাম বাড়লেও দাম বাড়েনি সাধারণ মানুষের শ্রমের মূল্য। কোনভাবেই যোগান দিতে পারছে না সংসার খরচের। চাল কিনছে তো তেল, পেয়াজ মেলছেনা। আবার আটা কিনছে তো সবজি কিনতে পারেনি।
ব্যায় আছে, আয় নেই। আবার এমন রয়েছে বহু পরিবার। দেশের উন্নয়নধারা চলমান এই কথাটি সত্য। কিন্তু সাধারণ মানুষ দারিদ্র সীমার অনেক নিচে বসবাস করছে এটাও চরম সত্য। নিম্ন বিত্তের পরিবারের লোকগুলো নিম্ন কাজ করতে পারলেও চক্ষু লজ্জার কারনে তা করতে পারছেনও না মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো । শিক্ষিত যুবক রা চাকুরী না পেয়ে রাইড শেয়ারিং করছে অনেকেই। উল্টো বে-আইনি পথ বেছে নিচ্ছে অনেকেই। আবার কেউ বেছে নিয়েছে ফুটপাত ব্যাবসা। আবার কেও স্নাতক শেষ করেও কোন কাজ না পেয়ে বোজা হয়ে আছে পরিবারের। অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পিতারা মনের কষ্ট এড়াতে বলছেন, আয়ুরেখা যদি কম হতো তাহলে বোধ হয় বেচে যেতে পারতো। সন্তানের পড়ালেখার খরচও চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেকের। আর এই সব কিছুর দ্বায় কে নেবে? দ্রব্য মুল্যের চরম উর্ধ্বগতি বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ সহ সকলে। এমন দুঃখ-দর্দশা ঠেকাতে সরকারের বিশেষ আইন দিকনির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউই। কারণ ব্যবসায়ীদের কাছে আইন আইনের জায়গায়।
কারবার কারবারের জায়গায়। এক কথায় ব্যবসায়ী নয় যেন পুরো বাজার সিস্টেম টাই একটা সিন্ডিকেট।
বিদ্যুৎ-জ্বালানি থেকে শুরু করে কোন জিনিসটা ধাপেধাপে দাম বাড়েনি? অভিযোগ করে বলছেন সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় যদি বাজার ব্যাবস্থার লাগাম না ধরা যায়। তাহলে যে গোপন দুর্ভিক্ষ চলছে। তা প্রকাশমান হবে অচিরেই বলে মনে করছেন সুশীল জনেরা। আর তাতে করে ভেঙে পড়বে সমাজের অবকাঠামো এবং মুখ থুবড়ে, নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে আইনশৃঙ্খলা ব্যাবস্থা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + thirteen =

এ জাতীয় আরো খবর..